আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, টানা ১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধে ইরানিদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ এমন এক শক্তি তৈরি করেছে, যা ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
দেশের সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা জাতীয় নিরাপত্তা, দেশের প্রতিরক্ষা এবং ইসলামী বিপ্লবের অর্জন সুরক্ষায় প্রস্তুত। আজ তারা আগের তুলনায় বহুগুণ বেশি প্রস্তুত এবং নতুন অর্জন ও উন্নত সক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েল বর্তমানে ইরানকে অস্থিতিশীল করার জন্য মনস্তাত্ত্বিক ও গণমাধ্যমভিত্তিক যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে দেশটি নিজেই অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে নানা সংকটে জর্জরিত।
চলতি বছরের ১২ জুন ইসরায়েল ইরানের ভেতরে বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে নিহত হন বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিক।
এর জবাবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর নেতৃত্বে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী চালায় নজিরবিহীন প্রতিশোধমূলক অভিযান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’। এতে প্রথমবারের মতো দেশীয়ভাবে উন্নত নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
এই অভিযানে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক, গোয়েন্দা, শিল্প, জ্বালানি ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি আঘাত হানে।
এরপর গত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
Your Comment